২৬ জুন ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পর তার হাতের স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন লুট করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর ভাগনি জামাইকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম।
গত সোমবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বটতলী এলাকা থেকে আসামি মো. সেলিমকে (৪৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সেলিম উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের চরসামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রি করতেন।
গ্রেপ্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “মোবাইলের মাধ্যমে খালা শ্বাশুড়ির (৫৪) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন সেলিম। কোরবানির ঈদে সেলিম বাড়ি গিয়ে ১৫ জুন রাতে মোবাইলে ওই নারীকে ডেকে নেন।
“পরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ সময় তার হাতের স্বর্ণের আংটি, কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যান সেলিম।
তিনি বলেন, ঘটনার পরদিন দুপুরে স্থানীয় শিশুরা ওই বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
ওসি বলেন, “ঘটনার পর থেকে সেলিম পলাতক ছিলেন। পরে ওই নারীর মোবাইলের কল লিস্ট যাচাই করে সেলিমকে শনাক্ত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
“লুট করা স্বর্ণালংকারগুলো বটতলী এলাকার একটি দোকানে বন্ধক রাখা হয়। তদন্তের স্বার্থে ওই দোকান থেকে স্বর্ণালংকারগুলো জব্দ করা হয়।
ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
২ ঘন্টা আগে