সোমবার ৩০ জুন ২০২৫ , (০৫:১৬ PM) / ১৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হালাল খাবার

নয়া চাঁদ ডেস্ক   ঢাকা

৩০ জুন ২০২৫


| ছবি: নয়া চাঁদ

কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে-‘হেরাসূলগণ! পবিত্র হালাল বস্তু আহার করুন এবং সৎ কাজ করুন। (সূরা মুমিনুন : ৫১) উল্লেখিত আয়াতে হালাল খাবার গ্রহণ করতে বলা হয়েছে এবং নেক আমলের আদেশ করা হয়েছে। হালাল রুজি খেয়ে আমল করলে কলব ইবাদতের স্বাদ অনুভব করবে এবং আল্লাহর কাছে তা মাকবুল হওয়ার অতি নিকটে পৌঁছবে। অন্য একটি আয়াতে আরও স্পষ্ট করে মানব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে খাবারের মানদ- বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-‘হে মানব সম্প্রদায়! পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু আহার কর। (সূরা বাকারা : ১৬৮) হালাল খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ইবাদতের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহায়ক সেটাও কুরআনে কারিমে স্পষ্ট তুলে ধরা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখার মাধ্যমেই ইবাদত যথাযথ পালন করা সম্ভব তা সেখান থেকে প্রকাশ পেয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-‘হে মুমিনগণ! আহার করো আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিজিক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর, যদি তোমরা তারই ইবাদাত করে থাক। (সূরা বাকারাহ : ১৭২) আর মন্দ ও হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-তিনি (মুহাম্মাদ সা.) তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল ঘোষণা করেন এবং অপবিত্র বস্তু সমূহ নিষিদ্ধ করেন। (সূরা আরাফ : ১৫৭) মহান আল্লাহ আমাদের জন্য যেমন খাবার হালাল করেছেন ঠিক তেমনি কিছু খাবারকে হারামও করেছেন। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হালাল বা বৈধ খাবার গ্রহণ এবং হারাম ও অবৈধ খাবার পরিত্যাগ করা অপরিহার্য। আমরা সাধারণত দুই ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকি। একটি পশু-পাখি, অপরটি উদ্ভিদ ও শাক-সবজি। পশু-পাখির ক্ষেত্রে কিছু নিদর্শন ও বিধিবিধান লক্ষ্য করলে সহজেই হালাল-হারাম নির্ণয় করা যায়। যে প্রাণীতে হারামের কোনো চিহ্ন পাওয়া যাবে, তা খাওয়া জায়েজ নেই। ইসলামে দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জš‘ যেমন-বাঘ-সিংহ, নেকড়ে বাঘ, চিতা বাঘ, হাতি, কুকুর, শিয়াল, শূকর, বিড়াল, কুমির, ক”ছপ, সজারু ও বানর ইত্যাদি হারাম। হিংস্র জš‘র পাশাপাশি পাঞ্জাধারী হিংস্র পাখি খাওয়াও হারাম। যেমন-ঈগল, বাজ, পেঁচা ইত্যাদি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) দাঁতবিশিষ্ট প্রত্যেক হিংস্র জš‘ ও নখ দিয়ে শিকারকারী প্রত্যেক হিংস্র পাখি খেতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসলিম : ১৯৩৪) ইসলামে নোংরা ও নাপাক কিছু খাওয়া হারাম। যেমন-মৃত জš‘, পোকা-মাকড়, কীট-পতঙ্গ, প্রবাহিত রক্ত এবং যেসব খাবারে কোনো উপকার নেই যেমন বিষ, মদ, খড়কুটা, মাদকদ্রব্য, তামাক ও অন্য নেশাজাতীয় দ্রব্য ইত্যাদি। আল্লাহ নাম নেওয়া ছাড়া জবাইকৃত হালাল পশু-পাখিও হারাম। আল্লাহতায়ালা বলেন-‘আর তোমরা তা থেকে আহার কর না যার ওপর আল্লাহর নাম উ”চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা পাপাচার।’ (সূরা আন-আম : ১২১) হালাল প্রাণী জবাই শুদ্ধ না হলে, জবাইকৃত সে প্রাণীও হারাম।