খানাখন্দে ভরা লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার
লক্ষ্মীপুর
৩০ জুন ২০২৫
আঞ্চলিক সড়কের বেহালদশা | ছবি: নয়া চাঁদ
লক্ষ্মীপুর শহরের একমাত্র প্রধান সড়ক নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক। লক্ষ্মীপুর অংশে তাকালে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে সড়কটি। যে কোন সময় দূর্ঘটনায় শিকার হতে পারে এমন আতঙ্কে পথচারীদের পাশপাশি চালক-হেলপার ও যাত্রীরা।
বিশেষ করে শহরের বাস টার্মিনাল থেকে জকসিন বাজার পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কজুড়ে কোথাও উঠে গেছে পিচ, কোথাও সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ গর্ত। আবার কিছু স্থানে জমে থাকা পিচ উঁচু টিলার মতো হয়ে ওঠায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে চলাচল। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তার গর্তে পানি জমে থাকায় বোঝার উপায় থাকে না কোথায় গর্ত, কোথায় সমতল। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। যানজট আর ধীরগতির কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ যাত্রী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহীসহ সব শ্রেণির মানুষ।
এদিকে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ লাইন্স, জেলখানাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের সামনেও একই চিত্র। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দিন দিন তীব্র হচ্ছে।
পথচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই এই রাস্তায় চলতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পা ফসকে পড়েও যাচ্ছি মাঝে মাঝে। একটু বৃষ্টি হলেই তো গর্তের পানি দেখে বোঝা যায় না কোথায় রাস্তা, কোথায় গর্ত।"
রাবেয়া আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন,
"বাচ্চাদের নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া এখন রীতিমতো দুঃসাহসের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তার খানাখন্দে পানি জমে থাকায় হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটার সময় চলন্ত গাড়ির চাকায় পানি ছিটকে এসে আমাদের জামা-কাপড় ভিজে যাচ্ছে ও নোংরা হয়ে পড়ছে।"
রিকশাচালক শরিফ মিয়া বলেন, "প্রতিদিনই রিকশার চাকা গর্তে পড়ে যাচ্ছে। কারণ গর্তগুলোতে পানি থাকার কারণে গর্তের গভীরতা বুঝা যাবে না। যাত্রীরা রাগারাগি করেন। আরেক রিকশাচালক জহিরুল বলেন, "এই রাস্তা দিয়ে চালানো এখন কষ্টকর হয়ে গেছে। দুই-তিনদিন পর পর রিকশার চাকা সারাতে হচ্ছে। আমাদের ক্ষতি কিন্তু কেউ দেখে না।
জকসিন এলাকার স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন জানায়, "প্রতিদিন স্কুলে যেতে গিয়ে পড়তে পড়তে কোনোমতে টিকে থাকি। জুতা আর জামা-কাপড় প্রতিদিনই নোংরা হয়ে যায়।"
লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, "সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি কমলে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা হবে।"
এদিকে, বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত এই সড়ক কবে সংস্কার হবে—সে প্রশ্ন এখন লক্ষ্মীপুরবাসীর মুখে মুখে। শহরের প্রধান সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ এখন একটি নিরাপদ, চলনযোগ্য রাস্তার অপেক্ষায়
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌর শহরের কেন্দ্রস্থল এবং সোনাপুর বাজার জুড়ে পরিবেশ ও অবকাঠামোগত সংকট যেন দীর্ঘস্থায়ী ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শহরের মহাসড়কের পা...